জোর করে বিবস্ত্র করে এক নারীর ছবি তুলে চাঁদা দাবির অভিযোগে চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত ওই চারজনকে গ্রেফতার করে। এসময় অভিযুক্তদের কাছে থেকে আপত্তিকর ভিভিও জব্দ করা হয়।
জানা যায়, গত ১৮ জুন সন্ধ্যার দিকে ভিকটিমের স্বামী তার কাজের সহকারি এক কিশোরকে দিয়ে বাসায় বাজার পাঠান। ওই সহকারি বাসায় গিয়ে দরজা নক করলে ভিকটিম দরজা খুলে দেন। তখন ওই সহকারির পেছন পেছন এলাকার বখাটে ও মাদকসেবী সানি মুন্সি (২৩), মোঃ শাওন(২৪), মোঃ মারুফ বিল্লাহ(২৫) ও সোহান(২৫) অতর্কিতে ওই বাসার ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় ভিকটিমের মেয়ে পাশের কক্ষে ছিল। অভিযুক্তরা মেয়েকে পাশের কক্ষে আটকে রেখে ভিকটিম ও ওই কিশোরকে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখান। এরপর ওই চার যুবক সহকারি কিশোরের পোশাক খুলে ভিকটিমের পাশে বসিয়ে ছবি তোলেন। এরপর আরও ‘আপত্তিকর কাজ’ করতে বললে তাতে রাজি না হওয়ায় ওই কিশোরকে মারধর করেন তারা। পরবর্তীতে ওই যুবকেরা ভিকটিমকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হয়ে জোর করে ভিকটিমকে বিবস্ত্র করে ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন। এরপর, এসব কথা কাউকে না জানাতে শাসিয়ে যান এবং এসব কথা কাউকে জানালে ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার এবং আরও বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দেন।
ভিকটিম ও তার স্বামী বলেন, তারা ওই এলাকায় ভাড়া থাকেন। তাই মান-সম্মানের ভয়ে শুরুতে বিষয়টি কাউকে জানানো থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু ঘটনার পর ওই যুবকেরা ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি শুরু করলে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানান।
অভিযোগ পাওয়ার পর গতকাল বিকেলে অভিযুক্তদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। দেড় ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্ত চার যুবককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় ওই চার যুবকের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে পুলিশ।